আপডেট:

Saturday, May 16, 2015

আসুন জানি কিছু বিষয় সম্পর্কে "সেগুলো কেন হয় ???" পর্ব ০২

আমার ধারাবাহিক পোস্টে আবারও থাকছে কিছু কৌতুহলি প্রশ্নের উত্তর।পড়ুন আশাকরি মজা পাবেন।আমরা অনেকেই হয়ত এর উত্তর জানি বা জানি না।অনেকেই হয়ত অতটা ঘাটাঘাটি করি না ফলে প্রশ্নের উত্তরগুলো পাই না।তাহলে নিচে যুক্ত করে দিলাম।

আর যদি এগুলো কালেকশনে রাখতে চান তাহলে এখান থেকে ডাউনলোড করেনিন।

আমাদের শরীর গরম থাকে কেন ???
আমাদের গ্রহণকৃত খাদ্যবস্তু জারণ প্রক্রিয়ায় দহনের মাধ্যমে তাপশক্তি(প্রতিদিন সাধারণত ২৫০০ ক্যালরি) উৎপন্ন করে বলে আমাদের শরীর গরম থাকে এবং তাপশক্তি শরীরের বিভিন্ন অংশকে বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম করে তোলে।

বিষুবরেখায় গরম বেশি কেন ???
পৃথিবী গোলাকার হওয়ায় সূর্যের আলো সর্বত্রই সমানভাবে পড়ে না।আর এক্ষেত্রে বিষুবরেখায় সূর্যরশ্মি প্রায় খাড়াভাবে পড়ে।তাই এই রেখা বরাবর গরম বেশি পড়ে।

গরমে কিছু ধরলে হাত পোড়ে কেন ???
আমাদের শরীর কোষ এবং কোষগুলো অসংখ্য অণু দ্বারা গঠিত।সুস্থ অবস্থায় স্বাভাবিক তাপে অণুগুলো গতিশীল থাকে।গরম কিছু স্পর্শ করলে এগুলোর গতি বেড়ে কোষগুলো ভাঙ্গতে শুরু করে ও পোড়ার অনুভূতি জন্মায়।এ সময় রক্ত দ্রুত চলাচল করে তা মেরামত করার চেষ্টা করে।এতে ত্বকে লাল দেখায়।এভাবে গরম খুব বেশি হলে কোষ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে পুড়ে যায়।
রক্ত জমাট বাধে কেন ???
কাটা স্থানের চারিদিকে রক্ত কণিকাস্থ অণুচক্রিকা কর্তৃক সৃষ্ট সিরোটোনিন নামক হরমোন রক্তবাহী নাড়ীকে সংকুচিত করে এবং এই অণুচক্রিকাগুলো রক্তরসের থ্রম্বোপ্লাস্টিন রঞ্জক থেকে কাটা স্থানে “ফাইব্রিন” নামক তন্তু তিরী করে রক্ত প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে, ফলে রক্ত জমাট বাঁধে।

আমরা কোনো বস্তু কিভাবে দেখি ???
কোনো বস্তুর উপর আপতিত আলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখের লেন্সের মধ্য দিয়ে চোখের পেছনের পর্দায়(রেটিনা) উল্টো আকারে ফুটে উঠে এবং সেখান থেকে তা স্নায়ু বেয়ে মস্তিষ্কে পৌঁছে সোজাভাবে দেখার অনুভূতি জন্মায়।

মানুষের মুখে ব্রন কিভাবে হয় ???
মানুষের ত্বকের নিচের ছোট ছোট “অয়েল গ্ল্যান্ড” থেকে ত্বকগ্রন্থির ছিদ্রপথে সামান্য পরিমাণে তেল বের হওয়ায় ত্বক নরম থাকে।কিন্তু বাতাসের ধুলাবালি বা কোষের বর্জনীয় পদার্থ কখনও কখনও এই ছিদ্রপথ বন্ধ করে দিলে রক্তের শ্বেতকণিকা পুজে পরিণত হয়ে এখানে ব্রনের সৃষ্টি করে

ধন্যবাদ সবাইকে।

No comments:

Post a Comment